বন্ধ গোন্দলপাড়া জুটমিল শ্রমিকদের পাশে থাকার ডাক

মাসছয়েক আগেই গোন্দলপাড়া জুটমিল যা বছর দুয়েক ধরে বন্ধ সেখানে একটি মেডিক্যাল ক‍্যাম্প আয়োজন করেছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার শ্রমিকদের সমস‍্যা নিয়ে বাস্তব হাতেকলমে কাজ করে আসছেন। খবরটা আনন্দবাজারে বেরিয়েছিল। একসময় যাদের হাতের পেশীতে মেশিনের চাকা ঘুরতো তাঁদের অনেকেই আজ আত্মহত‍্যা করেছেন জীবনযুদ্ধে দাঁড়ি টেনে। কোন হেলদোল থাকে নি সরকারের। রিপোর্টটির কথা শুধু এজন‍্যই উল্লেখ করলাম কারণ সেই রিপোর্টে মনখারাপের দিনলিপিতে আরো অনেকের সাথেই অজয় সাউ নামে জুটমিলের এক শ্রমিকেরও ইণ্টারভিউ বেরিয়েছিল যিনি সংবাদদাতাকে জানিয়েছিলেন কিভাবে মিল বন্ধ হওয়া আর একটা গোটা অর্থনৈতিক জীবন ধ্বংস হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে তাঁদের জীবন স্বাস্থ‍্য স্বপ্ন সবকিছু। এই লকডাউন শুরু হওয়ার পরের দিনই সেই অজয় সাউ মারা গেছেন হ‍ৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়ে। করোনা অবসরে কোন সেলিব্রটি কি রান্না করছেন কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন তার অন্তহীন ফর্দ দিয়ে চলেছে মিডিয়া। আর যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরন্ন বা আধপেটা খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে ঠাসাঠাসি করে থাকতে হচ্ছে আলো বাতাসহীন ক‍্যাম্পে কোন কাজের কোনভাবে বেঁচে থাকার ন‍্যুনতম নিশ্চিয়তা নেই যাদের আগামীদিনগুলোতে তাদের খবর কে রাখে? আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি অনাহারী মানুষগুলোর মুখে। দিতেই হবে। সারা দেশজুড়ে শুধুমাত্র মানবতার দাবিতে অসংখ্য মানুষ অসংখ্য সংগঠন নিরলসভাবে এই কাজ করে চলেছেন নিজেদের সাধ‍্যের সীমা অতিক্রম করেও। কিন্তু যারা হাতে করে ক্ষুধার অন্ন অনাহারী মুখে পৌঁছে দিচ্ছি তারাও জানি এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। যেমন নয় শুধুমাত্র রেশনের চালের ওপর ভরসা রেখে দেশের কোটি কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা। একটা ভাইরাস গোটা দুনিয়া জুড়ে অনেক অনেক প‍্রশ্ন তুলে দিয়ে গেছে।আজ না হোক কাল তার উত্তর খুঁজতেই হবে আমাদের। আজ গোন্দলপাড়া এলাকায় দেড়শ পরিবার,তালডাঙ্গা এলাকায় দশটি পরিবার ও ভাকুণ্ডা এলাকায় কুড়িটি পরিবারের কাছে খাদ‍্যসামগ্রী পৌঁছে দিলাম আমরা।আগামীকাল দেওয়া হবে আরো দেড়শটি পরিবারকে। সাথে থাকুন। সহযোগিতা করুন। লিখেছেন: কমরেড অভিষেক। সহায়তা করার জন্য যোগাযোগ: চিরন্তন: 9903638601 কৌস্তভ: 9674695919 সজল: 9231864938 অভিষেক: 8617788474